ভার্টিগো কি?
ভার্টিগো হলো এক ধরনের রোগ। যেখানে আপনার মনে হবে যে আপনার চারপাশের সবকিছু ঘুরছে অথবা আপনার এটাও মনে হতে পারে আপনি স্থির কোনো কিছুর চারপাশে ঘুরছেন। ভার্টিগো চিকিৎসায় দীর্ঘ মেয়াদী ঔষধ সেবন ভাল কোন চিকিৎসা নয়। তাই ভার্টিগো হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শুধু তাই নয়, এই মাথা ঘোরা অনুভূতি ছাড়াও আপনার বমিবমি ভাব অথবা ডাবল ভিশন (একটি জিনিসকে দুটি দেখা) হতে পারে। ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত হলে আপনার শ্রবণশক্তিও হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়াও এই রোগের কারণে টিনিটাস (বাইরের কোলাহল ব্যতীত কানে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা, বিশেষ করে শোঁ শোঁ শব্দ বা বায়ুপ্রবাহের শব্দ, এছাড়া ঘন্টা বাজার শব্দ, বাঁশি বাজার শব্দ কিংবা গুনগুন শব্দও শুনতে পারেন) হতে পারে।
সময় অনুযায়ী ভার্টিগোর চিকিৎসা না নিলে উপরের সমস্যা গুলো ছাড়াও রোগীর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত হলে কি কি সমস্যা হতে পারে ?
আপনার চারপাশে হঠাৎ পৃথিবী ঘুরছে অথবা মনে হচ্ছে স্থির পৃথিবী আপনার চারপাশে ঘুরছে! হ্যাঁ, এমন হলেই বুঝবেন আপনি ভার্টিগো রোগে ভুগছেন। শুধু তাই নয়, এই মাথা ঘোরা অনুভূতি ছাড়াও আপনার বমিবমি ভাব অথবা ডাবল ভিশন (একটি জিনিসকে দুটি দেখা) হতে পারে।
ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত হলে আপনার শ্রবণশক্তিও হ্রাস পেতে পারে। এছাড়াও এই রোগের কারণে টিনিটাস (বাইরের কোলাহল ব্যতীত কানে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা, বিশেষ করে শোঁ শোঁ শব্দ বা বায়ুপ্রবাহের শব্দ, এছাড়া ঘন্টা বাজার শব্দ, বাঁশি বাজার শব্দ কিংবা গুনগুন শব্দও শুনতে পারেন) হতে পারে। সময় অনুযায়ী ভার্টিগোর চিকিৎসা না নিলে উপরের সমস্যা গুলো ছাড়াও রোগীর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্যালেন্স ডিসঅর্ডার/ভারসাম্যহীনতা কত প্রকারের হতে পারে?
বয়স একটু বেড়ে গেলেই আমরা প্রায় ব্যালেন্স ডিসঅর্ডার অথবা ভারসাম্যহীনতা রোগে ভুগী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ব্যালেন্স ডিসঅর্ডার অথবা ভারসাম্যহীনতা আসলে কি?
ভারসাম্যহীনতা হল এক প্রকার ভারসাম্য অনুভূতি। আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে হঠাৎ করে মাথা ঘোরানো, চোখের সামনে অন্ধকার ঘিরে আসার অনুভূতি হতে পারে। এমন হলেই খুব মাথা ঘোরা, মস্তিষ্কের পীড়া এবং ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। এই ভারসাম্যহীনতার কারণে ব্যক্তির মন আনচান করে, বমি বমি লাগে, প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করে আবার উঁচু জায়গায় বা স্থানে গেলে মাথা ঘোরায়।
বয়স এবং ব্যক্তিভেদে এই ব্যালেন্স ডিসঅর্ডার অথবা ভারসাম্যহীনতা কয়েক প্রকারের হতে পারে। আসুন আজ জেনে নেই-
১। বেনাইন প্যারোক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো (BPPV): BPPV হল সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ব্যালেন্স ডিসঅর্ডার অথবা ভারসাম্যহীনতা। এটি তখনই ঘটে যখন ছোট ক্যালসিয়াম স্ফটিকগুলি ভিতরের কানের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং মাথাটি নির্দিষ্ট অবস্থানে সরানো হলে মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো সৃষ্টি হয়।
২। ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস: এই অবস্থাটি ভেস্টিবুলার নার্ভের প্রদাহ দ্বারা সৃষ্ট হয় যা ভিতরের কানকে মস্তিষ্কের সাথে সংযুক্ত করে। যার ফলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং হাঁটতে অসুবিধা হয়।
৩। ল্যাবিরিন্থাইটিস: এই অবস্থাটি অভ্যন্তরীণ কানের সংক্রমণের কারণে হয় এবং এর ফলে মাথা ঘোরা, শ্রবণশক্তি হ্রাস এবং কানে টিনিটাস (শোঁ শোঁ শব্দ) হতে পারে।
৪। মেনিয়ার ডিজিজ: অভ্যন্তরীণ কানে তরল জমা হওয়ার কারণে এই সমস্যা হয় এবং এর ফলে মাথা ঘোরা, টিনিটাস, শ্রবণশক্তি হ্রাস এবং কানের মধ্যে পূর্ণতা অনুভূতি হতে পারে।
যদি উপরের এই উপসর্গগুলি অনুভব করেন তাহলে আপনি ব্যালেন্স ডিসঅর্ডার অথবা ভারসাম্যহীনতা রোগে ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইলে অবশ্যই একজন ভার্টিগো এবং ব্যালেন্স বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাংলাদেশে ব্যালেন্স ডিসঅর্ডার অথবা ভারসাম্যহীনতা রোগের নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ডাঃ সজিব সাহা
কিভাবে বুঝবেন আপনি ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত?
আপনি ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত কি না, তার আগে জানতে হবে ভার্টিগো কি? সহজ কথায় ভার্টিগো হল এক ধরনের ব্যালেন্স ডিজঅর্ডার অর্থাৎ ভারসাম্য সংক্রান্ত ব্যাধি। আপনার যদি মাঝে মধ্যেই হঠাৎ মাথা ঘুরে ওঠে অথবা এমন মনে হয় যে, পুরো পৃথিবী আপনার চারদিকে ঘুরছে এবং আপনি পড়ে যাচ্ছেন। তাহলে বুঝবেন আপনি ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত!
কানের ভিতরের অংশে কিছু সমস্যার কারণে ভার্টিগো হয়। ভার্টিগো হলে একজন ব্যক্তি হঠাৎ অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন। বড় সমস্যা হল এই ধরনের পরিস্থিতিতে রোগী পড়ে যাওয়া এবং ফ্র্যাকচারের চরম ঝুঁকিতে থাকেন।
ভার্টিগো হলে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন- কোথাও হাঁটা, হাঁটতে যাওয়া, বাজারে কেনাকাটা করা ইত্যাদিও কঠিন হয়ে পড়ে। ভার্টিগোর কারণে রোগীকে বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকতে হয়। শুধু তাই নয় সামাজিক জমায়েত এড়িয়ে চলার পাশাপাশি নিজের উপর আত্মনির্ভরশীলতাও কমে যায়। এভাবে ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, মানসিক চাপ ইত্যাদির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও মহিলাদের মধ্যে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের বৃদ্ধির কারণে ভার্টিগো হয়ে থাকে।
সহজে ভার্টিগো রোগে আক্রান্ত বিষয়ক পরামর্শ নিন
ভার্টিগো রোগকে সহজ ভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। অবহেলার কারণে ব্যহত হতে পারে স্বাভাবিক জীবন। আমরা অনেকেই মনে করি এই রোগের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন বাংলাদেশেই ভার্টিগো রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। আছেন ভার্টিগো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তাই ভার্টিগো হলে অবহেলা না করে দ্রুত একজন ভার্টিগো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।